4G vs 5G Network Generations: 4G -তে সর্বোচ্চ 100 Mbps স্পিড পাওয়া যেত। 5G তে প্রায় 100 গুণ বাড়তে পারে স্পিড। নতুন প্রজন্মের নেটওয়ার্কে মুহূর্তে ডাউনলোড করা যাবে HD সিনেমা।
বিগত এক দশক ধরে ভারতে 4G নেটওয়ার্কের প্রসার ঘটেছে। এবার আসতে চলেছে 5G। নতুন নেটওয়ার্কে আগের থেকে স্পিড বাড়তে চলেছে বহু গুণ। সবে ভারতে শেষ হয়েছে 5G স্পেকট্রাম নিলাম। এর পরেই বিভিন্ন টেলিকম সংস্থা ভারতে 5G নেটওয়ার্ক (Network Generation) আনতে চলেছে। 4G -র থেকে 5G নেটওয়ার্কে (Cellular Networks) অতিরিক্ত কী সুবিধা পাওয়া যাবে? কী ভাবে আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের অভ্যাস বদলে দেবে নতুন প্রজন্মের টেলিকম নেটওয়ার্ক? দেখে নিন।
স্পিড (Speed)
প্রায় সকলেই জানেন যে 4G -র থেকে 5G নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট ব্যবহারের স্পিড বাড়বে। 4G -তে সর্বোচ্চ 100 Mbps স্পিড পাওয়া যেত। খাতায় কলমে এই স্পিড পাওয়া গেলেও রোজকার জীবনে 4G নেটওয়ার্কে (Network Generation) 35 Mbps পর্যন্ত স্পিড পাওয়া যায়। তবে 5G নেটওয়ার্কে 100 গুণ বাড়তে পারে স্পিড। খাতায় কলমে 5G নেটওয়ার্কে 20 Gbps পর্যন্ত স্পিড পাওয়ার কথা হলেও দৈনন্দিন জীবনে 5G -তে 3 Gbps পর্যন্ত স্পিড পাওয়া যাবে।
তবে 5G নেটওয়ার্কের লো ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সিগুলিতে 50-250 Mbps স্পিড পাওয়া যাবে। যা 4G স্পিডের থেকে কিছুটা বেশি। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে এই ফ্রিকোয়েন্সি পাওয়া যাবে।
ল্যাটেন্সি (Latency)
ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় ডেটা প্যাকেট এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাত্রা করে। ডেটা প্যাকেট যেতে যে সময় লাগে তাকেই ল্যাটেন্সি বলা হয়। ল্যাটেন্সি যত কম হবে ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা তত ভালো হবে। 4G -তে সর্বনিম্ন 50 মিলি-সেকেন্ড ল্যাটেন্সি পাওয়া যেত। 5G নেটওয়ার্কে (Cellular Networks) ল্যাটেন্সি কমে 1 মিলি-সেকেন্ড হতে পারে। এর ফলে অনলাইন গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা অনেকটা ভালো হবে।
কভারেজ (Coverage)
লঞ্চের এক দশক পরে এখনও গোটা দেশে 4G নেটওয়ার্ক পৌঁছে যায়নি। তাই 5G লঞ্চের পরেই তা সারা দেশে পৌঁছে যাবে এমন আশা করা ভুল। আপাতত শুধুমাত্র কয়েকটি বড় শহরেই 5G (Network Generation) পৌঁছবে। কয়েক মাসের মধ্যে শুরু হবে পরিষেবা। যদিও গোটা দেশে এই পরিষেবা শুরু হতে এখনও কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় 100টি শহরে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে।
ব্যান্ডউইথ (Bandwidth)
4G -র থেকে 5G নেটওয়ার্কে অনেকটা বেশি ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। 600 MHz থেকে 2.5 GHz তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যে কাজ করে 4G। তিনটি পৃথক ব্যান্ডে 5G (Cellular Networks) কাজ করবে। প্রত্যেক ব্যান্ডের অধীনে রয়েছে আলাদা তরঙ্গদৈর্ঘ্য। এর ফলে 5G -তে 4G নেটওয়ার্কের থেকে অনেক বেশি ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে।