দৈনিন্দিন যে সব ডিভাইসগুলি ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল স্মার্টফোন। প্রায় প্রত্যেকের হাতেই রয়েছে নামী-দামি সংস্থার বিভিন্ন মডেলের স্মার্টফোন। স্মার্টফোন হাতে থাকা মানেই যে কোনও কাজ সহজতর হওয়া। বিদ্যুৎ বিল দেওয়া থেকে শুরু করে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ মেইল পাঠানো অথবা অনলাইন শপিং সবকিছুই সম্ভব। কিন্তু এসবের মাঝে ব্যাটারির চার্জ শেষ হলেই বিপদ। তখন আর স্মার্টফোন সঙ্গে রেখেও কোনও কাজ করা সম্ভব হয় না।
Read More: What is Nothing Phone 1?
বর্তমানে যে সব সংস্থাগুলি স্মার্টফোন লঞ্চ করছে সেগুলির বিভিন্ন ফিচার্সের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে শক্তিশালী ব্যাটারি। সংস্থাগুলির তরফে দাবি করা হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ ওই ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। কিন্তু ফোন কেনার পর অনেকেই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকের একদিন চলছে ব্যাটারি ব্যাকআপ, অনেকের আবার দিনের মাঝেই শেষ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে দীর্ঘসময় ধরে ব্যাটারি ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকবে সেবিষয়ে অনেকেই চিন্তিত। এই প্রতিবেদনে জানুন কীভাবে আপনার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দীর্ঘক্ষণ থাকবে।
খুব সহজ কয়েকটি কাজ করলেই আপনার ফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দীর্ঘক্ষণ পাওয়া সম্ভব। যদিও অনেকের সেগুলি অজানা। এই প্রতিবেদনে জানুন সেই কাজগুলি-
ফোনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন-
ফোনের ব্রাইটনেস যদি খুব বাড়িয়ে রাখেন তাহলে অত্যধিক পরিমাণে ব্যাটারি খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেকারণে চেষ্টা করবেন সবসময় ফোনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখার। অথবা অটো মোড অন করে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে কোন সময় কত পরিমাণ ব্রাইটনেস রাখা দরকার তা স্মার্টফোন নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সেকারণে ব্যাটারি কমানোর জন্য ফোনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা দরকার।
Read More: Download Latest Movies
দরকার ছাড়া ডেটা বন্ধ রাখুন-
অনেকের ফোনে সারাদিন ডেটা অন রাখা থাকে। কিন্তু ডেটা অন রাখার ফলে অনেক অত্যধিক পরিমাণে ব্যাটারি খরচ হয়। যার ফলে দিনের মাঝেই ব্যাটারির চার্জ শেষ হতে পারে। সেকারণে সবসময় উচিত যখন ডেটা ব্যবহার করছেন না তখন তা অফ রাখা। এর ফলে বেশিক্ষণ ব্যাটারি থাকবে ফোনে।
TWS না ব্যবহার-
এখন TWS বা নেকব্যান্ড হেডফোন ব্যবহারের সংখ্যা বেড়েছে। এর ফলে ব্লুটুথের মাধ্যমে তা কানেক্ট করতে হয়। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যাটারি খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ফোন ব্যাটারি বাঁচাতে TWS বা নেকব্যান্ড হেডফোন ব্যবহার না করা উচিত। প্রয়োজনে ওয়্যার হেডফোন ব্যবহার করলে ব্যাটারি সাশ্রয় হবে।
লোকেশন বন্ধ-
GPS লোকেশন চালু রাখলে অত্যধিক পরিমাণে ডেটা খরচ হয়। কারণ সেক্ষেত্রে সবসময় GPS ট্রাকিং করতে থাকে। দ্বিতীয়ত ইন্টারনেট অন রাখতে হয়। সেকারণে প্রয়োজন না থাকলে GPS বন্ধ রাখা দরকার।
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ চালু-
প্রত্যেকের ফোনেই রয়েছে একাধিক অ্যাপ। সেই অ্যাপগুলির মধ্যে অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডেও চালু থাকে। অর্থাৎ অ্যাপগুলি অন না রাখলেও সেগুলি ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে থাকে। তাই ওই অ্যাপ বন্ধ রাখা দরকার। কারণ ব্যাকগ্রাউন্ডে অ্যাপ চালু রাখলে অত্যধিক পরিমাণে ব্যাটারি খরচ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভিডিয়ো রেকর্ডিং-
এখন অনেক ফোনেই রয়েছে 4k ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের সুবিধা। সেক্ষেত্রে হাই রেজ়লিউশন ভিডিয়ো রেকর্ডিং করার ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে ব্যাটারি খরচ হয়।
আমি আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে সারাদিন ব্যবহার করেও সামান্য খরচ হবে স্মার্টফোনের ব্যাটারি। এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে অনুগ্রহ করে আমাদের কমেন্ট করুন বা আমাদের মেইল করুন।
== Tags ==
#how_to_save_smartphone_battery
#how_to_save_battery_on_android
#how_to_save_battery_while_using_mobile_data
#how_to_save_battery_on_samsung
#battery_saver
#how_to_save_phone_battery_iphone
#how_to_restrict_apps_with_high_battery_use
#battery_saving_app
#battery_life_android
Tags:
android