🔸আমরা সবাই কিডন্যাপকিং সম্পর্কে জানি, কিডন্যাপকিং এর ক্ষেত্রে কিডনাপার কাউকে কিডন্যাপ করে নিয়ে তার পরিচিত মানুষজনের কাছে টাকা-পয়সা দাবি করে।
🔸Ransomware(র্যানসমওয়্যার) এর ক্ষেত্রে এরকমই হয়ে থাকে। হ্যাকার প্রথমে আপনার পিসিতে মেলওয়ার প্রবেশ করিয়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সকল ফাইল গুলা এনক্রিপটেড করে , এবং পরে সেই এনক্রিপশন খোলার জন্য আপনার কাছে টাকা দাবি করে। এক্ষেত্রে অনেক সময় টাকা দিয়ে দেওয়ার পর তারা আপনাকে ডিক্রিপ্টর দিয়ে দেয় যার মাধ্যমে আপনি এনক্রিপটেড ফাইলগুলো আনলক করতে পারবেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে শোনা গিয়েছে টাকা দেওয়ার পর তারা আর কোন রেসপন্স করে না। যেহেতু তাদেরকে টাকা বিটকয়েনের মাধ্যমে দেয়া হয়, তাই কে বা কারা কোথা থেকে এই কাজ করছে তার ধরা অনেক মুশকিল হয়ে পড়ে। এক কথায় অসাধ্য।
🔸Ransomware(র্যানসমওয়্যার) এর ক্ষেত্রে যে এক্সটেনশন দিয়ে ফাইলগুলো এনক্রিপ্ট করা হয়, সেগুলো ডিক্রিপ্ট করা প্রায় অসম্ভব। কারন যে ফাইলগুলো এনক্রিপ্ট করছে তার কাছে যে কি(🗝️) আছে সে কি ছাড়া এই ফাইলগুলো অন্য কোনভাবে আনলক করা যাবে না।
🔸প্রতিবছর লাখো-কোটি মানুষ Ransomware(র্যানসমওয়্যার) এটাক এর শিকার হয়. বেশিরভাগ সময় কোম্পানি/এন্টারপ্রাইজ/প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে
Ransomware(র্যানসমওয়্যার) অ্যাটাক হয়ে থাকে বলে শোনা যায়।
কিন্তু সাধারণ মানুষ ও এর দ্বারা অনেক সময় আক্রান্ত হয়ে থাকে।
🔸Ransomware দুই ধরনের হয়ে থাকে
১: Crypto ransomware
২: Locker ransomware.
1️⃣: Crypto ransomware এর ক্ষেত্রে এটা আপনার শুধুমাত্র ফাইলগুলা ( pic/doc/exe/ etc.) ইত্যাদি এনক্রিপ্ট করে দেয়।
2️⃣ Locker ransomware এর ক্ষেত্রে এটা আপনার পুরো অপারেটিং সিস্টেমকে লক করে দেয়, এবং আপনি কোন কিছুতেই অ্যাক্সেস করতে পারবেন না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা গুলার Crypto ransomware এটাক হয়ে থাকে।
🔸এখন এর থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায়:
1️⃣ উইন্ডোজ সবসময় আপটুডেট রাখবেন। (এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই উইন্ডোজ ১০ / ১১ ব্যবহার করতে পারেন। )
2️⃣ ভালো কোন এন্টিভাইরাস ব্যবহার করবেন. (সম্ভব হলে পেইড কোন এন্টিভাইরাস কিনে নিবেন, কখনো কোন এন্টিভাইরাস এর ক্রাকড ভার্সন ডাউনলোড করবেন না)
3️⃣ ইন্টারনেট থেকে কোন ফাইল ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন, অনেক সময় কোনো ফাইল ডাউনলোড করতে গেলে অনেকগুলা এড চলে আসে, সেগুলোতে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন। কারণ সে গুলাতে ক্লিক করার মাধ্যমে আপনাকে অন্য কোন একটা উল্টাপাল্টা ওয়েবসাইটে রি-ডাইরেক্ট করে দেবে. এবং জাভাস্ক্রিপ্ট এনেবেল থাকলে অটো মেলিসিয়াস ফাইল ডাউনলোড হয়ে যাবে।
4️⃣(Show file extension) টা এনাবেল রাখবেন, এবং কি ডাউনলোড করেছেন এবং কিসের মধ্যে ক্লিক করছেন সর্বদা সতর্ক থাকবেন। (সন্দেহজনক কোন এক্সিকিউটিভল ফাইল সরাসরি উইন্ডোজছ ওপেন না করে উইন্ডোজ স্যান্ডবক্স (Windows Sandbox) ওপেন করতে পারেন। এটা করার মাধ্যমে আপনি নিরাপদ থাকবেন।
5️⃣ অপরিচিত কোন মেইল থেকে ইমেইল আসে তার দরকারি না হলে ওপেন করবেন না, এবং ইমেইল এর মধ্যে কোনো অ্যাটাচমেন্ট থাকলে তা না জেনে ডাউনলোড করবেন না।
6️⃣ আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলি অফলাইন/ অনলাইন কোথাও ব্যকআপ করে রাখবেন। সম্ভব হলে একটা পোর্টেবল হার্ডড্রাইভ কিনে তাতে বেকাপ করে রাখেন। প্রতি সপ্তাহে/কয়েকদিন পর পর ফাইলগুলা ব্যাকআপ নিন। এবং হার্ড ড্রাইভটি যখন দরকার তখন ছাড়া কখনো লাগিয়ে রেখে দেবেন না পিসি এর সাথে। (তাহলে আপনার হার্ড ড্রাইভ টি ও ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে).
7️⃣ কখনো যদি আক্রান্ত হয়ে যান, তাহলে প্রথমে আপনার উইন্ডোজটি নতুনভাবে সেটআপ দিন। তারপর অনলাইনে কিছু ডিক্রিপ্টর পাওয়া যায় তা দিয়ে ডিক্রিপ্ট করার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
আমি আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন যে র্যানসমওয়্যার কি ? কিভাবে কাজ করে? এর থেকে বাঁচার উপায় কী?। এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে অনুগ্রহ করে আমাদের কমেন্ট করুন বা আমাদের মেইল করুন।
#what_is_ransomeware
#how_to_create_ransomeware
#ransomware_decryption_software
#kaspersky_ransomware_decryptor
#kaspersky_decryptor
#avast_ransomware_decryption_tools
#emsisoft_decryptor_free_download
#decrypt_tool_free_download
#avast_decryptor
#avast_decryption_tool
#avg_decryptor
#kaspersky_ransomware_removal_tool_free
#ultimate_decrypter_free_download
#free_ransomware_removal_tool
#bitdefender_ransomware_decryptor
#avast_free_ransomware_decryption_tools
#avg_ransomware_decryption_tools
- https://knoworld18.blogspot.com/
- https://bnknoworld18.blogspot.com/
- https://hiknoworld18.blogspot.com/
- https://allaboutsubha.blogspot.com/
- https://hottechpanda.blogspot.com/
- https://affiliatenetworkhub.blogspot.com/
- https://promaxmovieshub.blogspot.com/
- https://allaboutsubha.blogspot.com/